শুরুতেই বিতর্কে জড়ালো সৌদি নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসবাদ বিরোধী জোট
|
৩ পৌষ ১৪২২ |
Thursday, December 17, 2015
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সৌদি আরবের গড়া নতুন জোটের মধ্যে নিজেদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকটি দেশ। পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, জোটে যোগ দেবার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা মত দেননি।
ফলে এই জোটের কার্যক্রম এবং সাফল্য নিয়ে শুরুতেই প্রশ্ন উঠেছে। উল্লেখ্য, এই জোটে বাংলাদেশও যোগ দিয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আইজাজ চৌধুরী বলেছেন, সৌদি সামরিক জোটে নিজেদের অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা শুনে তিনি বিস্মিত হয়েছেন একই সাথে রিয়াদে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতের কাছে এ বিষয়ে বিশদ জানতে চাওয়া হয়েছে। বুধবার এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জোটে পাকিস্তানের ভূমিকা কি হবে, তা ঠিক করার আগে ঐ জোটে আদৌ তারা যোগ দেবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
একই কথা জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চুক্তির বিস্তারিত কার্যবিধি পর্যালোচনা করে দেখছে ইন্দোনেশিয় সরকার। ফলে সামরিক জোটে যোগ দেবার বিষয়ে তারা এখনো নিশ্চিত নয়।
এদিকে, মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিশামউদ্দিন হুসেইন এই জোটকে সমর্থন জানালেও, জোটে কোনরকম সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। ফলে গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরাষ্ট্রগুলোর এরকম প্রতিক্রিয়ার পর নতুন সামরিক জোটের কার্যক্রম এবং সাফল্য নিয়ে শুরুতেই প্রশ্ন উঠেছে।
তবে এই জোটকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, নতুন জোট জঙ্গিবাদ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ল্যাভরভ বলেন , এটি একটি শুভ সূচনা, পরবর্তীতে জাতিসংঘ এ নিয়ে একটি পূর্নাঙ্গ সম্মেলন আয়োজন করতে পারে। হয়ত সেখান থেকে নতুন আরেকটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সতর্কভাবে এই জোটের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। মার্কিন নিরাপত্তা সচিব অ্যাশ কার্টার বলেন, সৌদি আরব এই জোট নিয়ে কী পরিকল্পনা করছে সেটা আমাদের আরো ভালো করে জানতে হবে।
তবে তুরস্ক এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। একমাত্র ন্যাটো সদস্য দেশ হিসেবে সৌদি জোটে জায়গা পাওয়া তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামি দেশগুলোরই সম্মিলিত ভাবে কথা বলতে হবে।