মোবাইল সেটও করতে হবে নিবন্ধন
|
৩ পৌষ ১৪২২ |
Thursday, December 17, 2015
আঙুলের ছাপসহ (বায়োমেট্রিক) মোবাইল সিমকার্ড নিবন্ধন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। আজ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কার্যালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এ পদ্ধতির উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি জানান, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মোবাইল ফোন (হ্যান্ডসেট) নিবন্ধনও শুরু হবে।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের নামে একটি সিমের নিবন্ধনের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির উদ্বোধন করেন। পরে নভেম্বর থেকে মোবাইল অপারেটরগুলো পরীক্ষামূলকভাবে এ কার্যক্রম শুরু করে।
আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে পুরনো বেশীরভাগ সিম নিবন্ধন হয়ে যাবে জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, যেহেতু এটা চলমান প্রক্রিয়া সেহেতু এপ্রিলের পরেও অনেক সিম নিবন্ধন হবে। আর সেটাও একই প্রক্রিয়ায় হবে।
আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে গ্রাহকের হাতের মোবাইল ফোনটিও রেজিস্ট্রেশন করতে হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এজন্য বিটিআরসি নির্দেশনা দেবে। তাহলে একজন নাগরিকের সম্পূর্ণ ডিজিটাল আইডেন্টিটি হবে। যে সিম এবং মোবাইল ব্যবহার করেন তা গ্রাহকের নামে হতে হবে। এভাবে আমরা তাকে (গ্রাহক) নিরাপত্তা দিতে চাই।’
তারানা হালিম বলেন, ‘আমরা টু-জি সম্প্রসারণ, থ্রি-জি শক্তিশালী করে ফোর-জিতে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই ৯৯ শতাংশ এলাকা মোবাইল নেটওয়ার্কের মধ্যে নিয়ে এসেছি। দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখলাম এ ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনাটাও খুব জরুরি। আমরা প্রতিটি কাজ ডেটলাইনের মধ্যে করতে সমর্থ হয়েছি।’
এ সময় মোবাইল সিমের ক্ষেত্রে উন্নত দেশে যে পদ্ধতি সে পথে যাত্রা শুরু করা হয়েছে জানিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘আঙুলের ছাপ নিয়ে যে কোনো ধরণের সমস্যা আমরা ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করবো।’
অনুষ্ঠানে বিটিআরসি’র সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস ডিভিশনের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: এমদাদ উল বারী সিম নিবন্ধনের বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, ‘যুক্তিসংগত কারণে যাদের এখনো এনআইডি নেই বা নিতে পারেননি, তারাই অন্য বৈধ পরিচয়পত্র দিয়ে সিম নিবন্ধন করতে পারবেন। এমনভাবে নিবন্ধিত সিমের মেয়াদ ছয় মাস থাকবে।’
এনআইডি ছাড়া পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র দিয়ে সিম কেনা যায়। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, আঙুলের ছাপ দিয়ে সিম নিবন্ধন করতে হলে এনআইডির কোনো বিকল্প নেই। নিবন্ধনের সময় একজন ব্যবহারকারী সঠিক তথ্য দিচ্ছেন কি না, সেটি যাচাই করার একমাত্র উপায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এনআইডি তথ্যভান্ডার। এনআইডি ছাড়া অন্য বৈধ পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডার সরকারের কাছে নেই।
এ সময় গ্রামীণফোনের সিইও রাজিব শেঠি, রবি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও সুপুন বীরাসিংহে, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গিয়াস উদ্দিনসহ বাংলালিংক, এয়ারটেল, সিটিসেলের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃ নয়া দিগন্ত