মহাকাশচারী হতে চান? কেরিয়ার হাতের মুঠোয়!
|
১ পৌষ ১৪২২ |
Tuesday, December 15, 2015
কেরিয়ার নিয়ে চিন্তিত? অথবা পৃথিবীর উপরে ঘেন্না ধরে গিয়েছে? ভয় নেই, এই দুই সমস্যার সমাধানই বাতলে দিচ্ছে নাসা। মহাকাশে ঘোরাফেরার রোমাঞ্চ আর মাসপয়লায় মোটা বেতন।
গতানুগতিক ছকে কেরিয়ার গড়তে উৎসাহ পাচ্ছেন না? রেগুলার দশটা-পাঁচটার রুটিনে নিজেকে দেখতে ঘৃণা বোধ করছেন? অথবা বৈরাগ্য এমন লেভেলে পৌঁছেছে যে, মনে হচ্ছে সব কিছু ছেড়ে হাঁটা দিই যে দিকে দু’চোখ যায়? দু’চোখকে সামনে না রেখে একটু আকাশপানে তাক করুন। আপনার সামনে ‘স্কাই, থুড়ি মাহাকাশ ইজ দ্য লিমিট।’
নাসা-র পক্ষ থেকে ভবিষ্যৎ-মহাকাশচারী গ্রহণের জন্য আবেদনপত্র ছাড়া হয়েছে। আবেদন করতে পারেন মার্কিন নাগরিকরাই। তা হোক, অন্য দেশের বাসিন্দাদের স্বপ্ন দেখতে তো দোষ নেই কোনও!
মহাকাশচারী হব বললেই হওয়া যায় না। বরং দেখে নেওয়া যেতে পারে এই ‘চাকরি’ পাওয়ার কয়েকটি প্রাকশর্তকে—
• মহাকাশে একলষেঁড়েদের জায়গা নেই। মহাকাশযানও ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবির মেসবাড়ি নয়, যে একলা একটা ঘর দখল করে থাকা যাবে। এখানে রুম শেয়ার করার ব্যাপারে না বললে চলবে না।
• মহাকাশের প্রতি অনুরাগ থাকাটা একবারেই মাস্ট। ছায়াপথ, গ্রহ-গ্রহাণু, ধূমকেতু-উল্কায় রুচি না-থাকলে আবেদন না-করাই মঙ্গল, নিঃসীম মহাশূন্যে ‘বাড়ি যাব’ বা ‘শপিং করব’ বলে আবদার করা ভারি অশোভন।
• অ্যাডভেঞ্চারে উৎসাহ থাকাটাও জরুরি। মহাকাশ তো আর কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতন যাওয়ার মোম-মসৃণ এক্সপ্রেসওয়ে নয়! অথবা উইকএন্ডের তাজপুর-লাটাগুড়িও নয়। মনে রাখতে হবে এমন এক জায়গায় আপনাকে যেতে হচ্ছে, যেখানে ‘পৃথিবীর নিয়ম’ খাটে না।
• বিজ্ঞানে অ্যালার্জি থাকলে আপনি আউট। কারণ, মহাকাশে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না আপনাকে। এই চাকরির প্রধান শর্তই হল ক্ষুরধার বিজ্ঞানমেধা, যা নাসা কড়ায়-গন্ডায় বুঝে নেবে।
• আপনার ভার্টিগো অর্থাৎ উচ্চতা-ভীতি থাকলে চলবে না। মনে রাখতে হবে ব্যাপারটা মহাকাশ। আমাদের চেনা উচ্চতার চাইতেও ঢের ঢের উঁচু সেই স্থান। পাড়ার মেলায় নাগরদোলা চড়ে প্র্যাকটিস সেরে রাখতে পারেন।
অতএব, দেরি নয়। খুলে ফেলুন নাসা-র সাইট। আর ভাবতে থাকুন নাগরিকতা-র ব্যাপারটা না-থাকলে আপনিও…