এ পাতার অন্যান্য সংবাদ
জুয়েলারী জগতে আলোচনার কেদ্রবিন্দুতে “ডায়মন্ড সিটি” বাংলাদেশ বিমানে নিয়োগ পাচ্ছে ৩০০ নতুন কেবিন ক্রূ , ছেলেমেয়ে উভয়ই ইউএস-বাংলার বহরে নতুন বোয়িং যুক্ত ‘চাকরির হতাশায়’ ঢাবি গ্রাজুয়েটের আত্মহত্যা ! এক যুগে পদার্পন করলো জবস এওয়ান ডটকম তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর নির্মাণ শুরু মে মাসে: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বান্দরবানে বাস খাদে, নিহত ৭ মোবাইল সেটও করতে হবে নিবন্ধন বিজয় দিবসে দীর্ঘ দিন পর স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে বিএনপি জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া নিবন্ধিত সিমের মেয়াদ ৬ মাসনির্বাচনী প্রচারণায় যা করা যাবে না
| ১ পৌষ ১৪২২ | Tuesday, December 15, 2015পৌরসভায় আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হলেও মিছিল-মিটিং-শোডাউনসহ বিভিন্ন বিধি-নিষেধ প্রার্থীদের মেনে চলতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সম্প্রতি ইসি থেকে রিটার্নিং অফিসারদের কাছে আচরণবিধি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা বিভিন্ন মাধ্যমে তা প্রচারসহ নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোমবার থেকে প্রতীক নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়েছে। এবারের পৌরসভা নির্বাচনে প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে মেয়র পদে প্রার্থী দিয়েছে ১৯টি রাজনৈতিক দল। প্রায় ৭ বছর পর সবকিছু ছাপিয়ে এ নির্বাচনে জমজমাট করে তুলেছে বৃহৎ দল দুটোর প্রতীক নৌকা আর ধানের শীষ। পৌরসভা এলাকাগুলোতে চলছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রার্থীরাও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। প্রচারণার সময়ে যাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন না হয় সে জন্যে প্রার্থীদের সুবিধার্থে প্রচার-প্রচারণায় বিধি-নিষেধগুলো তুলে ধরা হলো বাংলামেইলের পাতায়।
মাইক্রোফোনের ব্যবহার: প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে কোনো ব্যক্তি একটি ওয়ার্ডে পথসভার জন্য একটি এবং নির্বাচনী প্রচারণার জন্য একটি করে মোট দুইটি মাইক্রোফোন বা শব্দের মাত্রা বর্ধনকারী যন্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রচারণা দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
পোস্টার, হ্যান্ডবিল বা লিফলেট: প্রার্থীর পোস্টার হতে হবে সাদা-কালো। পোস্টারের আয়তন হবে দৈর্ঘ্যে ৬০ সেমি এবং প্রস্থে ৪৫ সেমি। এতে ছাপানো ছবি পোর্ট্রেট হতে হবে এবং কোনো অনুষ্ঠান বা মিছিলে নেতৃত্ব দান, প্রার্থনারত অবস্থা ইত্যাদি ভঙ্গিমার ছবি ছাপানো যাবে না। নির্বাচনী প্রতীকের আকার কোনোভাবেই তিন মিটারের বেশি হবে না। প্রার্থী বা অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা ও তারিখবিহীন কোনো পোস্টার লাগানো যাবে না। পোস্টার কেবল নির্বাচনী এলাকায় ঝোলানো যাবে। কোনো স্থাপনার দেয়াল বা যানবাহনে পোস্টার বা হ্যান্ডবিল বা লিফলেট লাগানো যাবে না।
দল প্রধানের ছবি: প্রার্থী তার পোস্টারে তার ছবি ছাড়া কেবল দলীয় প্রধানের ছবি ছাপাতে পারবেন। দলীয় প্রধানের ছবি লিফলেটেও ছাপানো যাবে।
মিছিল বা শোডাউন: নির্বাচনে যেকোনো ধরনের মিছিল বা শোডাউন নিষিদ্ধ। প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কেউ যেকোনো প্রকারের মিছিল বা মশাল মিছিল বা শোডাউন করতে পারবেন না। ইসি অনুমোদিত কোনো ব্যক্তি ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দির মধ্যে মোটরসাইকেল বা অন্য কোনো যান চালাতে পারবেন না।
সভা-সমিতির বাধা-নিষেধ: পথসভা বা ঘরোয়া সভা ছাড়া কোনো সভা করতে পারবেন না। তবে ঘরোয়া সভা করতে হলে অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে পুলিশকে অবহিত করতে হবে। আর পথসভা কোনো স্থানে এমনভাবে করা যাবে না, যাতে জনসাধারণের চলাচলে অসুবিধা হয়। এছাড়া অন্য প্রার্থী কোনো পথসভা বা ঘরোয়া সভায় বাধা দিতে পারবেন না।
জনগণের চলাচলে বিঘ্ন করে গেট-তোরণ বা ঘের নির্মাণ: নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো ধরনের গেট-তোরণ বা ক্যাম্প নির্মাণ কিংবা জনগণের চলাচলের অসুবিধা হয় এমন কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। প্রচারণার জন্য ৩৬ বর্গমিটারের বেশি স্থান নিয়ে প্যান্ডেল নির্মাণ করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে বিদ্যুতের সাহায্যে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করতে পারবেন না প্রার্থীরা। কোনো সড়ক কিংবা জনগণের চলাচল ও সাধারণ ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত স্থানে নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস করা যাবে না।
উপাসনালয়ে প্রচারণা নিষিদ্ধ: নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কেউ মসজিদ, মন্দির বা উপাসনালয়ে প্রচারণা চালাতে পারবেন না।
বিলবোর্ডে প্রচারণা: নির্বাচনে কোনো ধরনের স্থায়ী বা অস্থায়ী বিলবোর্ড ব্যবহার করা যাবে না। অথবা অন্য কোনো কাঠামো বা বৃক্ষ ইত্যাদিতে স্থাপন বা ব্যবহার করা যাবে না।
মোটরসাইকেলে নিষেধাজ্ঞা: নির্বাচনে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ২৭ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে ৩১ ডিসেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এছাড়া বেবিট্যাক্সি, ট্যাক্সি ক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিক-আপ, কার, বাস, ট্রাক বা টেম্পো চলাচল ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাত ১২টা থেকে ৩০ ডিসেম্বর মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে প্রার্থী বা প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট, সাংবাদিক, পর্যবেক্ষকরা এসব যানবাহন ব্যবহার করতে পারবেন।
এছাড়া জরুরি পণ্যবাহী বাহন বা অ্যাম্বুলেন্সও এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। এছাড়া নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরের ১৫ দিন পর্যন্ত ইসির অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তি নির্বাচন সংক্রান্ত কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলি করা যাবে না। আবার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে আগে সভাপতি বা সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে থাকলে নির্বাচনপূর্ব সময়ে ওই প্রতিষ্ঠানের কোনো সভায় সভাপতিত্ব বা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
ঘোষিত তফসিল অনুসারে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৪ পৌরসভায় ভোট গ্রহণ। ইতোমধ্যে মেয়র পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের ৬ মেয়র প্রার্থী। আর মেয়র পদে সর্বমোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ৯২৩ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৩৪ জন, বিএনপির ২২০ জন ও জাতীয় পার্টির ৭৩ জন প্রার্থী রয়েছে।